Image description

জামালগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে শিম চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মৌসুমের আগেই শিম বাজারজাত করে অধিক মূল্যে বিক্রি করতে পেরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। 

এবিষয়ে জামালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, কয়েক বছর আগেও এসব এলাকায়, বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা পতিত জায়গায় শিম চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটাতো। কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় শীতকালীন সবজি শিম বাণিজ্যিকভাবে সারা উপজেলায় চাষ হয়েছে। এ-শিমে বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তারা। তাই শিম চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালাগুজা গ্রামের চাষি মোজাম্মেল হক জানান, ৬০ শতক জমিতে শীতকালীন শিম চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। তার জমি সবুজ শিমে ছেয়ে গেছে। অধিক ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় তিনি খুব খুশি। 

একই ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, তার ৩০ শতক জমিতে আগাম চাষের শিম চাষ করেছেন। সাদা-বেগুনী শিমের ফুল আর সবুজ শিমে ভরে উঠেছে তার ক্ষেত। গত এক মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকার শিম বিক্রয় করেছেন। পাইকাররা জমি থেকে ৮০ টাকা কেজি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে সেই শিম বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। বাঁশ, জাল ও বীজ-সারে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। 

তিনি আরো জানান, শিম বিক্রয় শেষে একই জমিতে নিচে টমেটো উপরে শসার চাষ করবেন। তার মতো আব্দুস শহীদ, সামছুল হক, আব্দুল কাদির সহ আরো অনেকে আগামজাতের শিম চাষ শুরু করেছেন। তারা জানান, আগাম শিম চাষ করে কম খরচে লাভ বেশি। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ মন শিম উৎপন্ন হয়। 

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা জানান, কৃষি সমৃদ্ধ উপজেলা জামালগঞ্জ বরাবরেই কৃষিতে সাফল্য অর্জন করে আসছে। এবার শিম চাষ করে বাজিমাত করছেন তারা। শিম জাতীয় সবজিতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন সহ নানা পুষ্টি গুন রয়েছে। এই আগাম শিম চাষে কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। স্বল্প সময়ে শিম চাষের সফলতা আগামীতে অন্য চাষিদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।