বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ: টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভের জেরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দলটির দুই নেতার অনুসারীরা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে প্রায় দুই ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলে দলে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দুটি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দেন এবং রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা মিল্টন বৈদ্যর সমর্থকদের অভিযোগ, স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যাকে তারা চাঁদাবাজি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী মনে করেন।
তাদের দাবি, হামলা-মামলা আর কঠিন সময়েও রাজপথ না ছাড়ার ইতিহাস মিল্টন বৈদ্যকে এই আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সামনে আনে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দায়িত্ব নিতে পারেননি। এছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
একই সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খানের সমর্থকরাও মিছিল নিয়ে এসে মহাসড়কের ওপর অবস্থান নেন। তাদের দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মামলা-হামলা ও নির্যাতন সহ্য করে হেলেন জেরিন খান রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। তিনিই এলাকায় দলের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখ। মনোনয়ন সংশোধন করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অবরোধ চলাকালীন খবর পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা রাস্তা থেকে জ্বলন্ত টায়ার সরিয়ে ফেলে এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশের তৎপরতায় ধীরে ধীরে দূরপাল্লার যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।




Comments