Image description

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ বা এমপিও পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাসের হার না থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আর সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন না।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫’-এ এসব শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ অব্যাহত রাখতে হলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই পাবলিক পরীক্ষায় পরিশিষ্ট-‘গ’ অনুযায়ী কাম্য পরীক্ষার্থী থাকতে হবে এবং ন্যূনতম পাসের হার অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ, শিক্ষার্থী সংকট বা খারাপ ফলাফলের কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান (শহর ও মফস্বল) ভেদে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে:

নিম্ন মাধ্যমিক: শহরে ন্যূনতম ১২০ জন এবং মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়: শহরে ২০০ জন এবং মফস্বলে ১৫০ জন।

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়: শহরে ২৫০-৩৯০ জন এবং মফস্বলে ১৯০ জন শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক।

এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজগুলোর জন্যও বিভাগ ও অবস্থানভেদে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সাপেক্ষে ১০ম গ্রেডে সন্তোষজনক ১০ বছর চাকরি পূর্ণ করলে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতির পর তারা ৯ম গ্রেডে (২২০০০-৫৩০৬০ টাকা স্কেল) বেতন পাবেন।

তবে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদের ক্ষেত্রে নিয়মে ভিন্নতা রয়েছে। তারা ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পেলেও ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি বা পদবী পাবেন না।