রাবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশনের মনিটরিং কর্মসূচি
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ক্যাম্পাসজুড়ে 'ক্যাম্পাস ফুড স্টল মনিটরিং প্রোগ্রাম' ও স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হেলথ অ্যান্ড ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে শুরু করেন তাদের কার্যক্রম। এরপর প্রকৌশলী চত্বর, টুকিটাকি চত্বর ও রবীন্দ্রভবনের পাশ্ববর্তী এলাকাসহ ক্যাম্পাসের প্রায় ২০টিরও বেশি খাবার দোকানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মাহবুবর রহমান।
এ সময় নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, পরিবেশন ও সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে দোকানিদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক ও মাথার ক্যাপ বিতরণ করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
উক্ত কর্মসূচি উদ্বোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মাহবুবর রহমান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। খাদ্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে খাবারের গুণগত মান বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি HFSA-RU-এর এমন কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
সংগঠনের সহসভাপতি আহসান হাবীব জানান, নিয়মিতভাবে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে এবং প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া গেলে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তায় দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফুর ইসলাম বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলা আমাদের সংগঠনের অন্যতম প্রধান কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সুস্থ থাকার জন্য যেমন নিরাপদ খাদ্য প্রয়োজন, তেমনি অসুস্থতার অন্যতম কারণও অনিরাপদ খাদ্য। তাই নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও সুস্থ রাখা সম্ভব।
প্রশিক্ষণ সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কন্টেন্ট রাইটিং অ্যান্ড ক্রিয়েশন কো-অর্ডিনেটর ফারহানা জুথি, এক্সিকিউটিভ সদস্য আয়েশা, আহেদুল ইসলাম, সামসুন্নাহার সুইটি, নূর আলমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
কর্মসূচির আহ্বায়ক ছিলেন সংগঠনের সদস্য নুসরাত জাহান আয়শা।
আয়োজকরা আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।




Comments