Image description

রাশিয়া থেকে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় পোল্যান্ডের পূর্ব সীমান্ত শক্তিশালী করার প্রকল্পে সহায়তার জন্য সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। বার্লিন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিয়েভের অন্যতম কট্টর সমর্থক পোল্যান্ড। গত বছরের মে মাসে দেশটি বেলারুশ ও রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত তাদের দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

শুক্রবার গভীর রাতে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, পোল্যান্ডে অবস্থানরত জার্মান সেনাদের প্রধান কাজ হবে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা’। এর মধ্যে রয়েছে দুর্গ নির্মাণ, পরিখা খনন, কাঁটাতারের বেড়া ও ট্যাংক প্রতিরোধক স্থাপন। তিনি স্পষ্ট করেন, জার্মান সেনাদের কাজ কেবল এই অবকাঠামোগত সহায়তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

মুখপাত্র সেনাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করলেও জানিয়েছেন, এটি হবে ‘মাঝারি আকারের দুই অঙ্কের সংখ্যা’। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত সেনারা এই প্রকল্পে অংশ নেবেন।

জার্মান ওই মুখপাত্র আরও জানান, এই সেনা মোতায়েনের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। কারণ, সেখানে সেনাদের সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়ানোর তাৎক্ষণিক কোনো ঝুঁকি নেই। সাধারণত বিশেষ কিছু পরিস্থিতি ছাড়া বিদেশে জার্মান সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে পোল্যান্ড (ওয়ারশ) কিয়েভকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সরবরাহ করা অস্ত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে পোল্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবেও কাজ করছে। পাশাপাশি ওয়ারশ নিজেদের সেনাবাহিনী আধুনিকায়ন ও প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানিই ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাঁজোয়া যানসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভে পাঠিয়েছে।