Image description

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা বন্দরের বিকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য উচ্ছেদ হওয়া ২২টি ভূমিহীন পরিবার এখন স্থায়ীভাবে জমির মালিকানার দলিলের দাবি জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে আবারও উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিন কাটানো এই পরিবারগুলো নিজেদের নামে জমির স্বত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বিকল্প সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হলে টিয়াখালী ইউনিয়নের জিয়া কলোনি (পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি) থেকে ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে উচ্ছেদ হওয়া এসব পরিবারের দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া মৌজায় ২২টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইটবাড়িয়া মৌজার ২২২৭ নম্বর দাগের খাস জমিতে প্রতি পরিবারকে ৩ শতাংশ করে জায়গা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই জমিতে স্থানীয় এক নেতার ইটভাটা থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে সমঝোতার মাধ্যমে ওই সরকারি জমির ঠিক পেছনের ২২২৮ নম্বর দাগের প্রায় এক একর জমিতে (যা ব্যক্তিমালিকানাধীন ছিল) পরিবারগুলোকে ঘর তোলার সুযোগ দেওয়া হয়।

বর্তমানে ওই ২২টি পরিবার সেখানে বসবাস করলেও এখন পর্যন্ত তারা জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র বা দলিল পাননি। ভূমিহীনদের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের জমি বিনিময়ের কোনো লিখিত চুক্তি বা দলিল না হওয়ায় তারা চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় আইনি জটিলতায় তারা আবারও ঠিকানা হারাতে পারেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মানবিক কারণে ওই পরিবারগুলোকে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানার জমির সঙ্গে সরকারি জমির মালিকানা বদলের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, মাথার ওপর ছাদ পেলেও জমির মালিকানা না থাকায় তারা সামাজিকভাবে ও মানসিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাদের নামে জমির দলিল হস্তান্তরের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।