Image description

চলতি মৌসুমে ইরি ও পোলাও ধান চাষে সন্তোষজনক ফলন পাওয়ায় খুশি এলাকার কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মতো সার ও সেচ সুবিধা পাওয়ায় গত বছরের মতো এবারও ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় কৃষক রুবেল (৪২) জানান, গত বছর তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে ইরি, পোলাও ও মোটা মোটা জাতের ধান আবাদ করে প্রায় ২৫ মণ ধান পেয়েছিলেন। চলতি বছর একই জমিতে আবারও ইরি ও পোলাও ধান আবাদ করেছেন। তার জমিতে এবারও গত বছরের কাছাকাছি ফলন হয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে রিপন (৪৫) জানান, তিনি গত বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে ইরি ও পোলার চাল জাতের ধান আবাদ করে প্রায় ৪৫ মণ ধান পেয়েছিলেন। চলতি বছরেও একই পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে তিনি গত বছরের সমপরিমাণ ফলন পেয়েছেন। ফলন স্থিতিশীল থাকায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

কৃষক বাদল (৩৫) বলেন, গত বছর তিনি ২৪ শতাংশ জমিতে ইরি ও পোলাও ধান চাষ করে প্রায় ২৪ মণ ধান পেয়েছিলেন। এবছরও ফলন প্রায় একই রকম হয়েছে বলে তিনি জানান।

এছাড়া বসার হাওলাদার (৪৬) জানান, তিনি গত বছর ২৬ শতাংশ জমিতে ইরি ও পোলাও ধান আবাদ করে প্রায় ২৬ মণ ধান উৎপাদন করেছিলেন। চলতি মৌসুমেও তার জমিতে ধানের ফলন সন্তোষজনক হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদন ভালো হলেও ন্যায্য বাজারমূল্য পাওয়া নিয়ে তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তাদের দাবি, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো হলে কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন জানান, চলতি মৌসুমে ধানের ফলন সামগ্রিকভাবে ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভবিষ্যতেও উৎপাদন আরও বাড়বে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।