Image description

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দায় নবনির্মিত একটি ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। পিচঢালা সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এই খুঁটিটি বর্তমানে পথচারী ও যানবাহন চলাচলের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সুতারকান্দা এলাকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিজের সংযোগ সড়কটির ঠিক মাঝখানের একটি অংশে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রয়ে গেছে। সড়কের দুই পাশে গাইডওয়াল ও সুরক্ষা পিলার নির্মাণ করা হলেও খুঁটিটি অপসারণ বা স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খুঁটিটি রেখেই পুরো রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, অপরিকল্পিত এই কাজের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন খান বলেন, “মানুষের নিরাপত্তার জন্য ব্রিজ ও রাস্তা বানানো হয়। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে খুঁটি রেখে দেওয়া উন্নয়ন নয়, বরং এটি একটি মরণফাঁদ।” ফরহাদ হোসেন নামে আরেকজন প্রশ্ন তোলেন, “ঠিকাদার কীভাবে এমন জনঝুঁকিপূর্ণ কাজ শেষ করে বিল তোলার প্রস্তুতি নিতে পারেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়।”

নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, দিনের আলোতে খুঁটিটি চোখে পড়লেও রাতে কিংবা ঘন কুয়াশার সময় এটি একেবারেই দেখা যায় না। দ্রুতগতিতে আসা যানবাহন বা মোটরসাইকেল চালকরা এই খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “সংযোগ সড়কের কাজ চলাকালে খুঁটিটি সরানোর জন্য আমরা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিছু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সময়মতো খুঁটিটি সরানো সম্ভব হয়নি। তবে এটি স্থায়ী নয়, আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”

নগরকান্দা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সোহেল রানা চৌধুরী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “সড়কের মধ্যে খুঁটি থাকা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। খুঁটিটি স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে খুঁটিটি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে আমরা আশ্বাস দিচ্ছি।”

এলাকাবাসীর দাবি, কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই ‘মরণফাঁদ’ অপসারণ করে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করে।