আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণ ও আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দীর্ঘ আলোচনার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ৩৫টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ২৫টি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও তিনটি দল—এলডিপি, এবি পার্টি ও এনসিপি যুক্ত হতে যাচ্ছে। নতুন দলগুলো জোটে যুক্ত হওয়ায় এনসিপির জন্য বরাদ্দকৃত আসনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। প্রাথমিকভাবে এনসিপি ৩০টি আসন চাইলেও বর্তমানে তাদের ২০ থেকে ২৫টি আসন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া এলডিপি ও এবি পার্টিকে সম্মিলিতভাবে ৫টি আসন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আসন সমঝোতা ও জোটের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজই বিস্তারিত জানানো হবে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে (তৃতীয় তলা) আন্দোলনরত ১১টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকেই যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে আসন বণ্টন ও নির্বাচনী কৌশলের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা হবে।
জামায়াতের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ইসলামী দল ও সমমনা নাগরিক দলগুলোর এই ঐক্য নির্বাচনী মাঠে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপির সঙ্গে এই আসন সমঝোতা ভোট ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে পূর্ণাঙ্গ তালিকা এবং কোন দল কোন আসনে লড়বে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। সূত্রমতে, এনসিপি এখনো তাদের আসনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জামায়াতের সঙ্গে দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে।




Comments