Image description

বগুড়ার শাজাহানপুরে মিশুক চালককে কুপিয়ে গাড়ি ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শাজাহানপুর থানার জোড়া তালপুকুর এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মিশুক চালক মো. শাহজালাল বাবু (২৫) বনানী এলাকা থেকে ভাড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজালালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তার ব্যবহৃত স্মার্টফোন, নগদ টাকা ও মিশুক গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২৮) দায়ের করা হয়।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহাদত হোসেন (পিপিএম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোস্তফা মঞ্জুর (পিপিএম)-এর নির্দেশনায় শাজাহানপুর থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ মূল অভিযুক্ত মো. আল-আমিন (২১)-কে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে তার ঘর থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। আল-আমিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

এছাড়া ঘটনায় জড়িত অপর অভিযুক্ত কিশোর মো. হিফানুর রহমান তুষার (১৬)-কে কাহালু থানার মালদহ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলার আরেক সহযোগী মো. রাসেল (২০) এখনও পলাতক রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে কাহালু থানার জামগ্রাম বাজারের ‘নুসাইব নুসাইবা ফার্নিচার’ দোকান থেকে চ্যাসিস ও চাকা বাদে যন্ত্রাংশ এবং বগুড়া শহরের সূত্রাপুর এলাকা থেকে চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ছিনতাইকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত মালামাল আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মানবকণ্ঠ/ডিআর