ভোটার তালিকায় অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করায় নূরে আলম শাহরিয়ার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে কসবা উপজেলার নির্বাচন অফিসে বিশেষ কাজে যান কসবা পৌরসভার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী নূরে আলম শাহরিয়ার। তিনি কসবা পুরাতন বাজারে একটি ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকানের মালিক। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, নির্বাচন অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেন করছেন। তিনি এ অনিয়মের প্রতিবাদ করলে অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তাকে হুমকি দেন এবং পরে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নূরে আলম শাহরিয়ার বলেন, "আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। কসবা নির্বাচন অফিসে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি! কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করেন, সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কেউ ভাবে না।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা অর্থের বিনিময়ে ভোটার অন্তর্ভুক্তি, এনআইডি সংশোধন ও অন্যান্য সরকারি সেবা দিয়ে থাকেন। এমনকি নির্বাচন অফিসের কয়েকজন কর্মচারী বিভিন্ন ফটোকপির দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অর্থের বিনিময়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। বদলির আদেশ থাকার পরও তিনি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তদবিরের মাধ্যমে কসবায় রয়ে গেছেন। এ বিষয়টি নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এ ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিসের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা কসবায় এসে তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, "ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
Comments