Image description

প্রতীকি ছবি

নরসিংদীর পলাশে আব্দুল গনি নামের এক প্রবাসীর পাঁচ খণ্ড করা মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘোড়াশালের রেললাইনের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আব্দুল গনি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার আঁটিয়াগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের ভাই মনির হোসেন জানান, আব্দুল গনি প্রায় দেড় যুগ ধরে সিংগাপুরের কাজ করছিলেন। তিনি সেই দেশ থেকে ছুটি নিয়ে ঘোড়াশালের আঁটিয়াগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এই মাসের ২৯ তারিখে আবার সিংগাপুরে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় আমার ছোট ভাই আব্দুল গণির স্ত্রী জানান তার মোবাইল ফোন বন্ধ, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রাতেই ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশ ও পলাশ থানা পুলিশকে এ বিষয়ে জানানো হয়। পরে পুলিশসহ আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাইনি।  তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু রাত একটা ৪১ মিনিটে ও ফজরের নামাজের সময় নম্বরটি খোলা থাকলেও পরে আবার তা বন্ধ ছিল। আমার ভাইয়ের মরদেহ পাঁচ খণ্ড অংশ রেললাইনের আশে পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনসহ আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ ও ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের মাঝপথের রেললাইনের নিচে অজ্ঞাত একজনের খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি নিখোঁজ থাকা প্রবাসী আব্দুল গনির বলে শনাক্ত করেন তার ভাই মনির হোসেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এসআই মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে এ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’