Image description

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিখিল কর্মকারের পরিবার। নিরাপত্তার দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

রোববার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখিল কর্মকারের স্ত্রী শিলা রাণী। এ সময় তার স্বামী নিখিল কর্মকার, দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে নিঝুম কর্মকার ও ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে নীরব কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, তারা এখন গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। গত ২২ আগস্ট তাঁদের ঘরের জানালার গ্রিল কেটে সশস্ত্র ডাকাতি হয়। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে সবাইকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাপয়সা নিয়ে যায়। এসময় একই এলাকার দুর্জয় হাওলাদারকে তারা শণাক্ত করতে পারেন। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান (ফজলু ভেন্ডার) উঠে পড়ে লেগেছে।  

শীলা রাণী বলেন, ‘২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফজলু ভেন্ডারের (ফজলুল হক) নেতৃত্বে তার ছেলে রায়হান ও সহযোগী দুর্জয় হাওলাদারসহ একদল সন্ত্রাসী তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির গেট, দেওয়াল ভাংচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ওই রাতে সুনীল মিত্রের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। চালানো হয় লুটপাট। মূলত আমাদের জমিজমা দখল করতে এমন হামলা-মামলা চালানো হচ্ছে।’

বর্তমানে এই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় বাড়িঘর ছাড়া হয়ে আছেন বলে দাবি করেন। শীলা রাণী জানান, তার ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তারা গোটা পরিবার এর বিচার দাবি করে নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানান। 

অভিযুক্ত বিএনপির স্থানীয় নেতা মো. ফজলুল হক জানান, শীলা রানীর সঙ্গে তার একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যা নিয়ে জেলা জজ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ওই জমি তিনি বহু আগেই (২০২২ সালে) কেনার চুক্তিতে বায়না করেছেন। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে বায়না দলিলের খবর জেনেও অনেক পরে একটি পাওয়ার দলিল করেন শীলা রাণী। হামলা-মারধর ডাকাতির ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক বলেও তিনি দাবি করেন। মূলত তাকে হয়রাণি ও জমি দখলে রাখতে এসব করা হচ্ছে। তাঁদের আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।