Image description

খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা বসুপাড়ার বাঁশতলা মোড়ে বরকতিয়া মসজিদ এলাকায় নিজ বাড়িতে লিটন খান নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন ও পুত্রবধূ চাঁদনীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে লিটন খানের স্ত্রী বাইরে গেলে বাড়িতে ছিলেন লিটন, তার ছেলে লিমন ও পুত্রবধূ চাঁদনী। রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে লিটনের স্ত্রী দরজায় বাইরে থেকে তালা দেখতে পান। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই তিনি মেঝেতে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। লিটনের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশে রক্তমাখা একটি বটিও পড়ে ছিল। ঘটনার পর থেকে লিমন ও চাঁদনী পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, নিহত লিটন খান ফেরি করে মাছ বিক্রি করতেন। তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক লিমন দীর্ঘদিন ধরে নেশাগ্রস্ত। সম্প্রতি লিটন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই টাকা থেকে লিমন ২০ হাজার টাকা দাবি করছিলেন, কিন্তু নেশাগ্রস্ত ছেলেকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান লিটন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী বাইরে থাকার সুযোগে লিমন ও তার স্ত্রী চাঁদনী লিটনকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং পরে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে পুলিশের ধারণা। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে। লিটন খানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চার দিন আগে লিমন ও চাঁদনী ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন। নেশার টাকার জন্য পিতার সঙ্গে ছেলের দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিনের। এই দ্বন্দ্বই এমন নৃশংস পরিণতির কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।