ফ্যাসিবাদী আমলে ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরাই বেশি জুলুমের শিকার: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশের আমির মামুনুল হক বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। কেউ যদি আগামীর বাংলাদেশকে ইসলাম পন্থিদের এই ত্যাগ, কুরবানী, তাদের জুলুম এবং নির্যাতনের এই ইতিহাস মুছে ফেলে আবার যদি বাহাত্তরের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন পায়তারা করে তাহলে রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের (ঢাকা মোড়) শাপলা চত্বরে আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি জুলুম এবং অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। এই অন্যায় এবং অবিচারের মুখে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান এবং গণবিপ্লবে ইসলামী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা, এদেশের ইসলামী রাষ্ট্রকামী জনতা বিপুল পরিমাণ অংশগ্রহণ করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। তাদের শাহাদাতের বিনিময়ে চব্বিশের বিপ্লব সফলতা লাভ করেছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশ এই কথাগুলোকে মনে রেখেই চলবে এবং আমরা সেভাবেই বাংলাদেশকে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, কেউ যদি আগামীর বাংলাদেকে ইসলাম পন্থিদের এই ত্যাগ, কুরবানী, তাদের জুলুম এবং নির্যাতনের এই ইতিহাস মুছে ফেলে আবার যদি বাহাত্তরের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন পায়তারা করে তাহলে রাজপথে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়, প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় আগামীর ইসলামের বাংলাদেশকে গড়ে তুলবার জন্য আপনাদের কাছে আহ্বান জানাই। মনে রাখবেন, শত শত বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই বাংলাদেশের এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ইসলামের শাসিত ভূমি হিসেবে গড়ে তুলবার জন্য অনেক ত্যাগ এবং কুরবানী স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর বিপ্লব এটাই হবে আগামীর বুনিয়াদ। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সকলকে হিম্মত দান করেন এবং যে কোন আধিপত্যবাদী, সাম্রাজ্যবাদী এবং স্বৈরাচার শক্তির মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে আবারও ঐক্যবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করেন।
পথসভায় আল আমীন বিন আমজাদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম নাজিব, মুফতি নুরুল্লাহ, মুফতি আবরারুল হক আল মাদানীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। পথসভা শেষে তিনি বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
Comments