Image description

বিএনপি নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বতঃস্ফূর্ত উঠান বৈঠকে মিলিত হয়ে বলেছেন, "বিএনপি সরকার বা বিরোধী দলে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, বিপদে-আপদে জনগণের পাশে থাকে। মানবতার কল্যাণে বিএনপি কাজ করে। দুর্নীতি, লুটপাট, দমন, নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার হরণ করে গণশত্রুতে পরিণত হয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেছে। পলাতক আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাস্তা-ব্রিজ, এমনকি মসজিদ, কবরস্থানের উন্নয়নের নামে বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট করে নিজেদের পকেট ভর্তি করেছে।"

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নের দড়িনগুয়া কান্দাপাড়া গ্রামে গ্রামবাসীদের যাতায়াতের জন্য গভীর খাদের ওপর নিজস্ব অর্থায়নে পায়ে হাঁটার কাঠের সেতু শেষে এলাকাবাসীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘ দিন যাবত দড়িনগুয়া কান্দাপাড়া প্রধান সড়কে বিরাট খাদ সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এমরান সালেহ প্রিন্সের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করেন।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, "বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের টাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা-ব্রিজ, মসজিদ-কবরস্থানসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করে। এখানেই বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। পবিত্র ধর্ম ইসলামকে রাজনীতিতে টেনে আনা ইসলামের লেবাসধারী কয়েকটি দল ইদানীং নৌকার সাথে ধানের শীষকে এক করে বিষ বাণ স্লোগান দিচ্ছে। চরম মিথ্যাচার করে এরা রাজনীতিকে কলুষিত করছে। 

তিনি বলেন, 'যারা বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এক পাল্লায় মাপতে চায়, তাদের দাঁড়ি-পাল্লায় সমস্যা আছে, তাদের ঈমানে সমস্যা আছে। তাদের রাজনীতির প্রয়োজনে আল্লাহর নাম ব্যবহার করে, আবার নিজেদেরকে মধ্যপন্থী পরিচয় দিতে যেয়ে আল্লাহর নাম সরিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে গিয়ে ইসলামী শরিয়াহ আইনের কথা বলে আবার আধিপত্যবাদী শক্তির করুণা ভিক্ষায় শরিয়াহ আইনের বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করে।'"

তিনি আরো বলেন, "আওয়ামী লীগের মতো এসব দলের বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচি নাই। বিএনপি কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে না, সত্য কথা তুলে ধরে। দেশ ও জনকল্যাণে বিএনপির যুগান্তকারী কর্মসূচি আছে। বিএনপি জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির আগামী সরকার প্রান্তিক কৃষককে 'ফার্মার্স কার্ড'-এর মাধ্যমে একটি ফসল উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে। প্রতিটি পরিবারের মা বা গৃহকর্ত্রীর নামে 'ফ্যামিলি কার্ড'-এর মাধ্যমে পরিবারের খাদ্যদ্রব্যের একাংশ বিনামূল্যে প্রদান করবে।"

আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফান আলী, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নিলু, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাঈমুর আরেফিন পাপন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন সেলিম, মোতালেব খান, নুরুল ইসলাম, গোলজার হোসেন নাঈম, মোতালেব হোসেন, মঞ্জুরুল হামিদ রানা, জহিরুল ইসলাম হিল্লোল, এম আর আল আমিন, স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা এনামুল হক, বজলুর রহমান, হাদিউর রহমান বক্তব্য রাখেন।