Image description

নীলফামারীর সৈয়দপুরে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। শহরের গোলাহাট কবরস্থান রোড এলাকার ১০/১৫ জনের মতো খুচরা বিক্রেতা দিনরাত প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তরুণ তরুণীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। 

সূত্রে জানা যায়, গোলাহাট এলাকায় সেরু গ্রুপের ইয়াবার বড় বড় চালান সাপ্লাই করে মিস্ত্রিপাড়ার এক মাদক ডিলার এবং এরপর শহরব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এসব মাদক।

এভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে প্রায় ৩০টিরও বেশি স্থানে মাদক কেনাবেচার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করলেও বন্ধ হচ্ছে না এর বেচাকেনা। এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের প্রায় প্রতিদিন আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড ও জরিমানা করেও থামছে না মাদকের ব্যবহার।

জানা গেছে, প্রতিদিন শহরের হাতিখানা কবরস্থান, কয়ানীজপাড়া, রেললাইন এলাকা, রেলস্টেশন, রসুলপুর, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো সংলগ্ন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ বাস টার্মিনাল ও আদানী মোড়ে মাদকের বেচাকেনা হয়। এসবের মধ্যে শহরের গোলাহাট এলাকাটি এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত। কয়েকজন মাদক বিক্রেতা পুলিশের নাকের ডগায় এ এলাকায় গড়ে তুলেছেন।

গোলাহাট কবরস্থান গেট এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আমাদের কবরস্থান গেট এলাকা এখন মাদকের রমরমা। তাঁরা প্রকাশ্যে এসব বিক্রি করে, এমনকি বাসায় আরামে বসে মাদকসেবনের ব্যবস্থাও করে রাখে। রেললাইনে কালটি মাদক দরবারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদকসেবীদের আনাগোনায় আমরা এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছি। এলাকার পরিবেশ খুব খারাপ করে দিয়েছে এরা।

গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা সামসুদ্দিন, ইমরান, এনাম, ফয়েজসহ বেশ কয়েকজন তরুণ জানান, এলাকার মাদক রুখতে আমরা কিছুদিন আগে এলাকাবাসী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। সামনে লিফলেট বিতরণ, সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপনসহ মাদক রুখতে নিয়মমাফিক সব কাজ করব। আমরা পুলিশের সহযোগিতা চাচ্ছি যাতে এলাকাকে মাদকমুক্ত করা যায়। পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যত রক্ষার্থে এই মাদকব্যবসায়ীদের সমূলে উৎপাটন এখন সময়ের দাবি বলে জানান তাঁরা।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি এবং থাকব। তিনি বলেন, যেখান থেকেই মাদকের তথ্য আসছে আমরা সেখানে নিয়মিত অভিযান করছি। এ বিষয়ে তিনি জনসাধারণকেও এগিয়ে আসার এবং পুলিশকে তথ্য দেওয়ার সহযোগিতার আহ্বান জানান।