Image description

সিরাজগঞ্জে ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ৭৩ ভাগই সিরিঞ্জে মাদক গ্রহণকারী। একই সিরিঞ্জে মাদক গ্রহণ, রোগের তথ্য গোপন, তরুণদের সচেতনতার অভাব ও অনিয়ন্ত্রিত যৌনজীবনকে দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে এবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ৭৩ ভাগই মাদকসেবী। এর আগে ২০২০ সালে চারজন, ২০২১ সালে আটজন ও ২০২২ সালে এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮১। পরবর্তী ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তুলনামূলক স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকলেও এবার তা বেড়েছে কয়েক গুণ।

হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা বলেন, এবার জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৮৭ জন মাদকসেবী, সাধারণ ৩৫ জন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২৯ জন ও চারজন যৌনকর্মী। এর মধ্যে সেন্টারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৬ জন। বাকিরা নিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেকটাই ভালো রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, একবার টেস্টের পর যদি ফলাফল পজিটিভ হয়, তখন আমরা তাদেরকে এখানে আসতে বলি, কাউন্সেলিং করা হয়। এখানে মূলত আমরা রিটেস্ট করি। আগের রিপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবন করায় রক্তের মাধ্যমে এটা ব্যাপকভাবে শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে শনাক্তের সিংহভাগই মাদকসেবী। আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিং করছি। তবে ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহার কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।

এদিকে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, অবৈধ ইনজেকশন জাতীয় নেশা ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।