Image description

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একটি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক শিশুশিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ওসমান মল্লিক (৬) নামে নাজেরা শাখার ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।

মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়ার দাবি, শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর তার বড় ভাই আবু বকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির এক পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

শিশু ইয়াসিন উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসায় নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।

শিক্ষকের দাবির সত্যতা স্বীকার করে এমন কাজ আর হবে না বলে জানিয়েছেন শিশুটির বড় ভাই আবু বকর। তিনি বলেন, ইয়াসিন মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছিল না। দুবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। এ কারণে মাদ্রাসায় শিকল দিয়ে এসেছিলাম। শুনেছি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছেন।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে শিশুর পা শিকলে বেঁধে আটকে রেখে পাঠদান করানো হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে ভান্ডারিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। মঙ্গলবার কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ তারা মাদ্রাসায় যান। কিন্তু তারা পৌঁছানোর আগেই শিশু ইয়াসিন মল্লিকের পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়। তবে পরিবার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না বলে প্রশাসনকে কথা দেন তারা।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।