Image description

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে রাজশাহীর চারঘাটে। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু ধান আর ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। 

উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া, বালাদিয়াড়, ঝাউবোনা, শলুয়া ইউনিয়নের বামনদীঘি মাঠ, সরদহ ইউনিয়নের সাদিপুর, বথুয়া সহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাঠজুড়ে আমন ধানের শীষে সোনালি রঙের আভা ছড়িয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়ায় দুলছে পাকা ধান। কৃষক-কৃষাণীদের মুখে হাসি। ব্যস্ত সময় কাটছে ধান মাড়াই, শুকানো ও সংরক্ষণে। কেউ কেউ আবার জমির মধ্যেই ধান মাড়াই করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় কৃষক ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

নিমপাড়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। উন্নত জাতের বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করায় এবার আশানুরূপ ফলন পেয়েছি।

কৈডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ধান বেশি হয়েছে।

উপজেলা ভায়ালক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, এ বছর তিনি তার ২ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উচ্চ ফলনশীল জাত ৮৭, ১০৩, ৭৫, ৯০, ৯৪, ৯৫ ও বিনা-১৭ এবং কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় ১০–১৫ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে ফলন ভালো হওয়ায় এলাকায় খাদ্যের নিশ্চয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনি বাজারে ধানের সরবরাহও বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিদিব আল মামুন হাসান বলেন, চলতি বছরে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। উন্নত জাতের বীজ রোপনের কারণে এবার রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। জমিতে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

ক্ষতিকর কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোক ফাঁদ তৈরি, সার ও বালাইনাশকের সঠিক প্রয়োগ এবং পানি ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।