Image description

হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের পাঁচ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আক্তার তনুকে (১৫) উদ্ধার করেছে তার পরিবার। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সামিয়া উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সোহরাব উদ্দিনের মেয়ে এবং সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ধর্মঘরের নিজনগর গ্রামের রায়সুল ইসলাম টুটুল ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে সামিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন (২ ডিসেম্বর) তার বাবা মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং–৮০) করেন।

পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুল্লার চেংগাহাটি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়ি থেকে সামিয়াকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত রায়সুল ইসলাম টুটুল পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উদ্ধারের পর সামিয়া তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলে, ‘ওরা আমাকে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম। মানসিকভাবে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি শুধু বাবা-মাকে দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।’

সামিয়ার বাবা ইউপি সদস্য সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে যারা অপহরণ করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।’

স্থানীয় যুবদল নেতা আমিনুর রহমান আমিন এলাকায় নারী নির্যাতন ও অপহরণের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, ‘নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছিল। মেয়েটি উদ্ধার হয়েছে। এখন পরিবার চাইলে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’