Image description

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ নিহত তিনজনের পরিবার ও স্বজনদের খোঁজখবর নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইকবাল হোসেন। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামে সরেজমিন গিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের খবর নেন। 

এছাড়াও মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেককে ২৫ হাজার করে তিনজনের স্বজনদের হাতে মোট ৭৫ হাজার টাকা চেক তুলে দেন তিনি। এছাড়াও শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ও শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার, সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক, থানা পুলিশ প্রমূখ। চেক প্রদানকালে জেলা প্রশাসক শোক সন্তপ্ত স্বজনদের সমবেদনা জানালে তাঁরা মঙ্গল কামনায় দোয়া চান।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন; উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের করিম মণ্ডলের ছেলে সুমন মণ্ডল ( ২৫) ও রিমন মণ্ডল (১৪) এবং শাহিন মোল্লার ছেলে আশিক মোল্লা (২২)। তাঁরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

জানা গেছে, সুমন ও রিমন ঢাকায় আসবাবপত্র তৈরির কাজ করতেন। তাদের বোনের শাশুড়ির জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ফিরছিলেন চাচাতো ভাই আশিকের মোটরসাইকেলে করে। শনিবার রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে তারা দুর্ঘটনায় নিহত হন। রোববার দুপুরে তাঁদের মরদেহ গ্রামে পৌছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। এরপর আড়াইটার দিকে কাফন ও জানাযা শেষে তিনজনকে পাশাপাশি দুধরাজপুর - মহম্মদপুর কবরস্থানে দাফন করেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত আশিক ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির পাশাপাশি ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুমন ও রিমনের বড় ভাই সুজন মণ্ডলের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কথা হয় তিনি বলেন, 'বোনের শাশুড়ির মরদেত দেখতে এক মোটরসাইকেলে আসতেছিল ওরা। পথে দুর্ঘটনায় তিনজনই মারা গেছেন। এ খবর পেয়ে রোববার গভীর রাতে ডিসি স্যার বাড়িতে খোঁজ নিতে এসেছিলেন। এ সময় প্রত্যেককে ২৫ হাজার করে টাকার চেক, কম্বল ও খাবার দিয়েছেন। আমরা দোয়া চেয়েছি স্যারের নিকট।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার বলেন, রাতে সরেজমিন গিয়ে ডিসি স্যার স্বজনদের খোঁজখবর নিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন। দুই পরিবারে নিহত তিনজনের বাবার হাতে ৭৫ হাজার টাকার চেক, শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ আসলে ভবিষ্যতে আরো সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।