Image description

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ২নং কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর চাকলা খিয়ারপাড়া গ্রামে নিজগৃহে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া দম্পত্তির দাহ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  

আজ (৮ ডিসেম্বর) সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ রায়কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান শেষে পারিবারিক শ্মশানে মুক্তিযোদ্ধা য়োগেশ দম্পতিকে দাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়। 

মুক্তিযোদ্ধার দাহকার্যে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাববর হোসেনসহ ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগন অংশ নেন। এ সময় হাজারো গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদান করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যে শ্মশানে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে দাহ করা হলো ওই শ্মশানের জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ সেই শ্মশানেই মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ রায় ও তার স্বধর্মিনী সুবর্ণা রায় কে দাহ করা হলো।

মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ রায়ের বড় ছেলে সুবেন্দ্র বলেন, আমার বাবার কোন শত্রু নেই আমাদের শত্রু বলতে আমাদের গ্রামের মানুষ। আমার বাবা ও মা তারা দুজনেই বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ তাদেরকে যে বা যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন,যোগেশ শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা নন তিনি ছিলেন কুর্শা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও রহিমাপুর চাকলা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। এলাকার একজন সম্মানিত ব্যক্তি তার সহধর্মিনী ছিলেন একজন নিরীহ সহজ-সরল মিশুক মানুষ।

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা দম্পত্তির হত্যার বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে যা আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। খুব শীঘ্রই অপরাধীকে ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।