লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসামি ধরতে গিয়ে পরপর দুটি পৃথক ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা হামলার শিকার হয়েছেন। তবে ঘটনার দুই দিন পার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ এমন অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক হামলার ঘটনায় থানার মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মাঝে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বারোদুনিয়া এলাকায় আসামি ধরতে গেলে আসামিপক্ষের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করতে থাকে। হামলায় তিনি ও আরও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
অন্যদিকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, বুধবার রাতে সানিয়াজান ইউনিয়নের ঠ্যাংঝারা এলাকায় আসামি ধরতে গেলে একইভাবে আসামিপক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এর আগে গত মাসেও আসামি ধরতে গিয়ে এই থানার আরেক এসআই জাহিদ হাসান হামলার শিকার হন।
পরপর দুই দিনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে থানার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানার এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই ওসি মেসেজ দেয় আসামি ধরে থানায় আনতে হবে। কিন্তু আসামি ধরতে গেলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে বারবার। অথচ আইনি ব্যবস্থা নিতে ওসি গড়িমসি করছেন।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’
অন্যদিকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, ‘ইতোমধ্যে হাতীবান্ধা থানার ওসিকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’




Comments