Image description

গত ২৯ নভেম্বর শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা। স্হানীয় লোকজনের মারফতে পুলিশ জানতে পারেন উপজেলার ১০নং সলিমপুর ইউনিয়নের  ২নং ওয়ার্ড আব্দুল্লাহ ঘাটা মহাসড়ক সংলগ্ন পশ্চিমে একটি তেলের ডিপোর খালি জায়গায় এক নারী নিজ শরীরে নিজেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীর শরীলে লাগানো আগুন স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে নারী শরীলে লাগানো আগুনে দগ্ধ শরীল নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। এরপর আগুন দগ্ধ নারীর লাশটি উদ্ধার করে পরিচয় পেতে চেষ্টা করে। পুলিশ সহযোগিতা চান সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে। কিন্তু নারীর শরেরের আঙুল সম্পর্ণ পুড়ে যাওয়ায় ফিঙ্গার ফিন্টও নেওয়া সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশটির স্হান হলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে। পরে লাশটির কোন পরিচয় না পাওয়ায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম লাশটি অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন সম্পূর্ণ করেন।

কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, "কোথায় থেকে আসলো এই নারী? কেনই ভা নিজ শরীরে নিজেই আগুন দিল! এই মৃত্যুর অনেক রহস্য। যদি উদ্ঘাটন হতো নারীর মৃত্যুর আসল রহস্য। আরো উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে হলেও এসব মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে সঠিক মৃত্যুর কারণ জানা সময়ের দাবি বলে আমরা মনে করি।"

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.সোহেল রানা বলেন, "নিজ শরীলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করা চল্লিশ উর্ধে নারী কি কারণে আত্মহত্যা করল আমরা ফিঙ্গার ফিন্ট নিয়ে পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু নারীর শরীরের আঙুল সম্পর্ণ পুড়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে ডিএনএ স্যাম্পল রেখেছি, কেউ সন্ধান নিতে আসলে ডিএনএ স্যাম্পল পরীক্ষা করে নারীর পরিচয় পেতে সহজ হবে। আর পরিচয় পেলে আমরা নারীর শরীলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার সঠিক কারণ জানতে পারবো।"