Image description

ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মায়ের লাশের পাশে বসে কান্নাকাটি করছিলেন অভিযুক্ত ছেলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করায় ছেলে মানিক সরকারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ধামরাই পৌরসভার দক্ষিণপাড়া এলাকায় সরকারি কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোৎস্না রানী সরকার (৬৫) ওই এলাকার বিদু সরকারের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিক সরকার তার মা জোৎস্না রানীর সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায়ই তিনি মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। রোববার রাতে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের গলা টিপে ও মুখ চেপে ধরেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে জোৎস্না রানী মারা যান।

ঘটনার পর নিজেকে আড়াল করতে মায়ের লাশের পাশে বসে উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকেন মানিক। তার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে জোৎস্না রানীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ রোববার রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে ছেলে মানিক সরকারকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে মানিকের স্ত্রী শেফালী রাণী জানান, ৫ মাসের শিশুসন্তানকে দেখাশোনা করার কেউ না থাকায় তিনি বাবার বাড়িতে থেকে ধামরাইয়ের স্নোটেক্স গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তাই ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হওয়ায় নিহতের ছেলে মানিককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মায়ের মুখ চেপে ধরে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে লক্ষী রাণী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৫) দায়ের করেছেন।’

তিনি আরও জানান, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামি মানিককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।