ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বন্ধকীয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতঘর ভাঙচুর ও চার নারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার কাগদী জুগিকান্দা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কাগদী জুগিকান্দা গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী সীমা বেগম (২৭), ইউসুফ খার স্ত্রী নবীরন (৫০), সাহেব আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) এবং ভুট্টো খা ওরফে মিলনের স্ত্রী বিপাশা বেগম (৩০)। তাদের উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একই গ্রামের আশরাফ আলী ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৯ কাঠা জমি হুমায়ুন ও হাফিজুর রহমানের কাছে বন্ধক রাখেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্দিষ্ট সময় পার হলেও টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো জোরপূর্বক জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় শালিস হলেও তা মানা হয়নি। সম্প্রতি ওই জমিতে অভিযুক্তরা চাষাবাদ শুরু করলে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা মাঠে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষ জাহিদ মাতুব্বর, আজিজুর সরদার, হিমায়েত সরদার, রাজিব মোল্যা, বিলায়েত সরদার, রুস্তুম খা ও দিদারের নেতৃত্বে একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং বাধা দিতে গেলে নারীদের পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় আহত সীমা বেগমের স্বামী সৈয়দ আলী বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে অভিযুক্তদের অন্যতম রাজিব মোল্যা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি হামলা বা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নই। বরং উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।”
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




Comments