সরাইলে বাঁশের নীচে চাপা পড়ে আছে ৬৫ লাখ টাকার ঘাট, উচ্ছেদের পর আবারও দখল

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের সরকারি ঘাটটি আবারও অবৈধ দখলদারদের দখলে। গত বছর উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় উদ্যোগে ঘাটটি দখলমুক্ত করা হলেও, সম্প্রতি একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সেখানে বাঁশ ফেলে ও টং দোকান নির্মাণ করে ফের দখলে নিয়েছেন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ঘাটের মূল অংশে শত শত বাঁশ ফেলে এবং অস্থায়ী টং দোকান তৈরি করে পুরো ঘাটটি কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে মেঘনা-তিতাস নদীপাড়ের অসংখ্য বাসিন্দা ও হাটে আগত মানুষজন নদীপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাটটি এখন বাঁশের নিচে চাপা পড়ে আছে। জানি না, কবে এই দুর্ভোগ শেষ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রদত্ত এই ঘাটটি এখন যেন এক “কবরে” পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি, “এটি জনগণের ঘাট, অথচ তা প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। ভূমিদস্যুরা বাঁশ ফেলে এবং অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করে নদী ও ঘাট জবরদখল করছে।”
অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাজহারুল হক বলেন, গত বছর প্রশাসনের উদ্যোগে ঘাটটি উদ্ধার হয়েছিল। আবারও দখল হয়ে গেছে। আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ঘাটটি জনগণের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলুক।
এ বিষয়ে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত বছর ঘাটটি উদ্ধার করে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটি আবার দখল হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বাজারে মালামাল ওঠানামা এখন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে ঘাটটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরুদ্ধারের আশা ব্যক্ত করে সরাইল সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ঘাটটির বর্তমান অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে। দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
Comments