ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে ডাকাতির সময় সশস্ত্র তিন ডাকাতকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করছিল। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় তিনজন আটক হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ অক্টোবর রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রোকনের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বেজপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়িতে হানা দেয়। তারা আব্দুর রশিদের স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও আংটিসহ প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় রিজিয়া বেগম চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাক দেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদলের পিছু ধাওয়া করেন এবং তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হন। আটককৃতরা হলেন—হরিনাকুন্ডু উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল (৩২), একই উপজেলার বৈঠাপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন সর্দারের ছেলে রানা হোসেন (২৩) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের ওবায়দুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহম্মেদ সাকিব (২১)।
এলাকাবাসী জানান, আটককৃতদের মধ্যে তুষার আহম্মেদ সাকিব এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এবং রানা হোসেন সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছে। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন চান্দুয়ালী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে তৌহিদ হোসেন (১৮), মহামায়া গ্রামের কুরবান আলী ও তরিকুল ইসলাম (৩৮)। তবে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি, সার্কেল) ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত তিন ডাকাতকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। বাকি পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুক্কায়িত স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্রুত পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।




Comments