Image description

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মো: মাসুম রানার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি একই শিক্ষার্থীর একাধিক জন্মনিবন্ধন তৈরি করে বিভিন্ন  বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি রেজিস্ট্রারে যে কোন ভূল সংশোধনে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ, বিভিন্ন ভাবে অভিভাবকদের হয়রানি করা, স্কুলের শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে তার ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে পড়তে বাধ্য করা, স্কুলের অভ্যন্তরিন পরিক্ষায় তার কোচিং-এ পড়া শিক্ষার্থীদের নাম্বার বাড়িয়ে দেয়া,  অন্য শিক্ষার্থীদের  খাতায় নাম্বার কমিয়ে দেয়া, শিক্ষা বোর্ড ও অন্যান অফিস থেকে ই-মেইলের বিদ্যালয়ে আসা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রজ্ঞাপন, নোটিশ প্রধান শিক্ষকের কাছে গোপন রেখে বিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতা করা, বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে চক্র তৈরি করে অনিয়ম করে ভর্তি বানিজ্য করা, সহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । 

ইয়াসীন আহমেদ নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এক অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর মাসুম রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে বলেন, তার ছেলের স্কুলের ভর্তির সময়ে জন্ম তারিখে ভূল সংশোধনের জন্য মাসুম রানা তার কাছে ১২ হাজার টাকা  চান।

৬ষ্ট শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীর বাবা মাহমুদ হাসান চৌধুরীও তার বিরুদ্ধে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। 

রোববার মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মো: মাসুম রানার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে বিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত অনেক কাজের সাথে জড়িত। সে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায় করে ও অনৈতিক ভাবে ভর্তি করা সহ আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ময়মনসিংহ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ রয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর মাসুম রানাকে স্কুলে গিয়ে পাওয়া যায়নি, তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন।