নারায়ণগঞ্জে জামায়াত কর্মীর দোকানে বিএনপির হামলা, হত্যার হুমকি: জড়িতদের শাস্তির দাবি
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মোঃ কামাল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২২ অক্টোবর (বুধবার) রাতে বিএনপি কর্মী মুশফিকুর রহমান মোহন মিয়ার নেতৃত্বে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বিএনপি কর্মী দড়িকান্দি বাস স্ট্যান্ডে কামাল হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। তারা দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং চেয়ার-টেবিল বাইরে ফেলে দেয়। এ সময় তারা কামাল হোসেনকে হুমকি দিয়ে বলে, তিনি যেন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত না থাকেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আরও উগ্র আচরণ প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে সনমান্দী ইউনিয়নের মজনু মিয়া, তার ছোট ভাই মোহন মিয়া, রূপচান মিয়া, রুবেল মিয়াসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জন চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে এসে কামাল হোসেনের দোকানে পুনরায় হামলা চালায়। তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করলেও হামলাকারীরা অপর এক জামায়াত কর্মী জুম্মন মিয়ার ওপরও আক্রমণ করে। ভুক্তভোগী কামাল হোসেন জানান, হামলাকারীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। জুলাই বিপ্লবের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ বিরাজ করবে। কিন্তু এই হামলা সেই প্রত্যাশার পরিপন্থী।” তারা আরও বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপকর্মে জড়াতে সাহস না পায়।”
নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি তাদের কর্মীদের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসন এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গেছে। জামায়াত নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।




Comments