Image description

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিন সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা সহ দুই জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদির তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করে দেওয়া হয়।

কারাগারে পাঠানো আসামি হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, আজ শেষ সময়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একারণে রিমান্ড শুনানি হয়নি। আদালতের নির্দেশে আসামিকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী রবিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে, এক নারীর জমি দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকালে ৪ টায় ফতুল্লার গিরিধারা এলাকায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় আসামি শাহাদাত তার লোকজন নিয়ে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে তাদেরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পরে রাত ৭ টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর হামলাকারী আসামি শাহাদাতকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. আকাশ বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ও তার সহযোগী সায়েদাবাদী সহিদ (৫৫)। তারা দুজনে ফতুল্লার গিরিধারা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী তিন সাংবাদিক হলেন- জাগো নিউজ অনলাইনের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আকাশ, জাগো নিউজ অনলাইনের ক্যামেরা পারসন আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জ এর ক্যামেরা পারসন আয়াজ রেজা আরজু। 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুই জন নামীয় আসামি সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আর গ্রেফতারকৃত আসামি শাহাদাতের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আগামী রবিবার রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।