রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি পরিবারের ১২টি বসতঘর ও ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৩টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে আসবাবপত্র, জরুরি কাগজপত্র ও কারখানার মেশিন পুড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে পরিবারগুলো।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চারঘাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মিয়াপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মিয়াপুর এলাকার মুক্তার হোসেনের তিন ছেলে শিশির, মুস্তাকিন ও মকবুল এবং আলমের ছেলে কাঠের নকশার দোকান মালিক বাবু। ভুক্তভোগীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার শেষ রাতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে ৪টি পরিবারের ১২টি বসতঘর এবং ১টি কাঠের নকশার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শিশির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আগুনে আমাদের ৪টি পরিবার একেবারে পথে বসে গেছে। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও ব্যবসার মেশিনসহ সব পুড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
চারঘাট উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা এবং ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।’
এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন, নগদ ৬ হাজার টাকা, কম্বল ও শুকনা খাবার সহায়তা প্রদান করা হয়।




Comments