নবম জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, তিন দফা দাবি মেনে না নিলে আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৬ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকান্তিক অভিপ্রায়ে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ গঠিত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশের সরকারি গণকর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।
অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত বেতন কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্তকরণ পর্যায়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা সরকার গণকর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আমাদের পেশকৃত প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয় যে, অধিকারবঞ্চিত কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের বিদ্যমান ২০টি গ্রেডকে ভেঙে ১০টি গ্রেড ধাপে রূপান্তর পূর্বক ১ অনুপাত ৪ হারে বেতন নির্ধারণ করা হলে তা যথার্থ হবে।
এতে আরও বলা হয়, বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন প্রত্যাশায় সরকারি কর্মচারীরা ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর/পরিদপ্তরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি ও সামগ্রিক জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে নিম্ন গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা দুর্বিষহ অবস্থায় অতি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তায় গণকর্মচারীদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও গভীর ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজিত ক্ষোভ ও হতাশা নিরসনে বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নে সরাসরি আপনার নির্দেশনার জন্য সরকারি কর্মচারীগণ অতীব উৎকণ্ঠা ও গভীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষমান রয়েছেন।
উপস্থাপিত দাবি সমূহ হচ্ছে- সচিবালয় ভাতা, ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন এবং সচিবালয় রেশন ভাতা।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ সই করা স্মারকলিপিতে সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাশা পূরণে ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি ও আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশ না করা হলে আগামী ১০ জানুয়ারি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।




Comments