Image description

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শীত জেঁকে বসার সঙ্গে সঙ্গেই লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় এখন তুলা ধুনার শব্দে মুখর। শীত নিবারণে কেউ নতুন লেপ-তোষক বানাচ্ছেন, আবার কেউবা পুরনো লেপ মেরামতে ভিড় করছেন কারিগরদের দোকানে। ফলে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার দারিয়াপুর বাজার, মনিরামপুর বাজার, দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড ও রূপপুরসহ উপজেলার নগরডালা, জামিরতা, তালগাছি, খুকনি ও বাঘাবাড়ির হাট-বাজারে কারিগররা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন।

কারিগর গোপাল দাস, নিরঞ্জন দাস ও ইব্রাহিম হোসেন জানান, সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকেই তাদের ব্যস্ততা বাড়ে এবং তা জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। তবে এবার শীতের প্রকোপ একটু দেরিতে শুরু হওয়ায় নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। পৌর এলাকার ৭টি দোকানেই প্রতিদিন গড়ে ২৫টি লেপ ও ১০টি তোষক তৈরি হচ্ছে। 

কারিগর ও ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তুলা, কাপড় ও সুতার দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। ফলে লেপ-তোষক তৈরির খরচও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কার্পাস তুলা ১৫০-২০০ টাকা, তোষকের ব্লেজার তুলা ৬০-৭০ টাকা এবং গার্মেন্টস তুলা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেপের কাপড় প্রতি গজ ৫০-৬০ টাকা এবং তোষকের কাপড় ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে লেপ তৈরির মজুরি ৪৫০-৫০০ টাকা এবং তোষক তৈরির মজুরি ২৫০-৩০০ টাকা নিচ্ছেন কারিগররা। সব মিলিয়ে একটি মানসম্মত লেপ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় এবং তোষক ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কারিগরদের দাবি, উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাদের লাভের পরিমাণ আগের চেয়ে কমে গেছে।

লেপ-তোষকের কাপড়ের পাইকারি ব্যবসায়ী সাগর বসাক জানান, উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৪০টি লেপ-তোষক তৈরির দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে বেচাকেনা বেশ ভালো হয়। তিনি প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ থান (প্রতি থানে ৪০ গজ) লেপের কাপড় এবং ৩০০ গজ তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই রমরমা ব্যবসা চলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।