নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে কাঁচপুরের আজিম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. আলাউদ্দিন, তার মা জরিনা বেগম এবং পরিবারের অন্য দুই সদস্য শিমলা ও শিফা আক্তার। তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, দগ্ধদের মধ্যে আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফা আক্তারের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, শনিবার ভোরে ওই বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তেই ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা চারজনই দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরের আসবাবপত্র ও মালপত্র পুড়ে যায়।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তার ভাই একজন পোশাকশ্রমিক। ভোরে আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় বা ঘরে ঢোকার মুহূর্তে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা দ্রুত বের হতে পারেননি। পরে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
প্রতিবেশীদের ধারণা, ঘরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিল। মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ থেকে সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে সারা রাত ঘরে গ্যাস জমে ছিল। ভোরে চুলা জ্বালাতে গেলে কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করতে গেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’




Comments