দশমিনায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ সুমাইয়া ইসলাম উপজেলার আউলিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং রেজাউল সরদারের মেয়ে। অভিযুক্ত বখাটে কিশোরের নাম ইমাম হোসেন কালু। সে একই মাদ্রাসার ছাত্র এবং নাসির হাওলাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে সুমাইয়া বাড়ি ফিরছিল। পথে আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট এলাকায় বখাটে কালু তার পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সুমাইয়া তা প্রত্যাখ্যান করলে কালু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। রাস্তার পাশে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কালু মেয়েটিকে মারধর শুরু করলে তিনি এগিয়ে যান।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক মো. সোহাগ মৃধা জানান, ঘটনাটি তিনি অবগত হয়েছেন এবং বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।
মাদ্রাসার সুপার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমি কাজে দশমিনা সদরে ছিলাম, মুঠোফোনে বিষয়টি জেনেছি। অভিযুক্ত ছাত্র ইমাম হোসেন কালুকে এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে টিসি (ছাড়পত্র) দেওয়া হয়েছিল। পরে অভিভাবকদের অনুরোধে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়। এবার শিক্ষক পরিষদ ও এলাকাবাসীকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত কালু ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন। তবে কালুর বড় ভাই মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমি মাত্র শুনলাম। আমার ভাই যদি অন্যায় করে থাকে, তবে অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার এমন আচরণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




Comments