রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি যোগেশ রায় ও সুবর্ণা রায় হত্যাকাণ্ডে মোরসালিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রির সহকারী।
গত ৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর চাকলা খিয়ারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা এই দম্পতি। এরপর থেকেই পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল।
পুলিশ জানায়, গতকাল (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে মোরসালিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যার শিকার দম্পতির বাড়িতে মঙ্গলবার পর্যন্ত টাইলসের কাজ করছিলেন।
তদন্তে জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির বাড়িতে ঢোকে মোরসালিন। এ সময় তাকে দেখতে পান সুবর্ণা রায়। তখন হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে প্রথমে সুবর্ণা রায়কে এবং পরে যোগেশ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।
হত্যার শিকার দম্পতির বড় ছেলে সুবেন্দ্র রায় বলেন, ‘মাত্র ৮ হাজার টাকার জন্য আমার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
তারাগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ আজ নিজের ঘরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাই। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘মোরসালিন কিছুদিন ধরে দম্পতির বাড়িতে টাইলসের কাজ করছিল। কাজের সময় ঘর থেকে ৫ হাজার টাকা ও একটি শাড়ি চুরির ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়ে এবং ভুল স্বীকার করে চলে যায়। পরে আবার চুরি করতে এসে ধরা পড়ার ভয়ে দম্পতিকে হত্যা করে। গতকাল রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি আরও বিস্তৃতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’




Comments