Image description

ভারত যদি বাংলাদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তবে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত রাজ্যগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার বিশ্বাস করে না, এ দেশের সন্তানদের হত্যা করে—তাদের যদি আপনারা (ভারত) আশ্রয় ও ট্রেনিং দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উসকে দেন, তবে আমরাও সাফ জানিয়ে দিচ্ছি—আপনাদের ওখানকার যারা স্বাধীনতা চায়, তাদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, যারা এখনো দিল্লির তাবেদারি করছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রয়োজনে আমরা ‘তৃতীয় স্বাধীনতা’ অর্জন করব।

নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘আপনার আমার মৃত্যু এই মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের কাছে কেবল একটি সংখ্যা। একজন নির্বাচন কমিশনার গেলে হাজারটা পাওয়া যাবে, কিন্তু আমাদের ভাই হাদি চলে গেলে আর কোনো হাদিকে পাওয়া যাবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সমাজে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীল দলের শিক্ষক। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে হবে।’

রাজনীতিবিদদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে অন্ধ হবেন না। শহিদ মিনারে এসে বক্তব্য দিয়ে আবার সিট নিয়ে যারা নেগোসিয়েশন করবেন, তাদের দিয়ে জাতীয় ঐক্য হবে না।’

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা এবং তার খুনি দোসরদের আশ্রয় দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনোদিন স্বাভাবিক হতে পারে না।’

বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এই দূতাবাস যদি এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-পাওয়া ভারতের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারে, তবে ঐ ইট-পাথরের বিল্ডিংগুলো থাকার কোনো দরকার নেই।’

সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগামী দিনে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের ওপর যদি কেউ আঘাত হানতে চায়, তবে এই আগুন শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।’