ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই আগাম প্রচারণার জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার। ইসির নির্দেশনা মেনে পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরে দ্রুততম সময়ে প্রচার সামগ্রী সরানো হলেও উপজেলার প্রত্যন্ত হাটবাজারগুলোতে শুরুতে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক উম্মে হাবিবার তৎপরতায় সেসব এলাকা থেকেও নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আগাম প্রচারণা সামগ্রী সরাতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ এবং ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সুযোগ থাকবে। এ বিষয়ে রোববার সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কঠোর নির্দেশনা পাঠিয়েছে কমিশন।
সিলেট জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা জানান, সিলেট-৬ আসনে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে প্রচার শুরু করা যাবে এবং ৪৮ ঘণ্টা আগে তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রেও রিটার্নিং কর্মকর্তার পূর্বানুমতি নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিয়ানীবাজারের রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক ও প্রার্থীরা একটি মনোরম নির্বাচনের আয়োজনে সহায়তা করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
এদিকে স্বউদ্যোগে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার সরানোর বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা নিজেরাই প্রচার সামগ্রী অপসারণ করেছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিতে নির্বাচনী আচরণবিধি মানার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’




Comments