Image description

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নিজ শোরুম থেকে অস্ত্রের মুখে অপহৃত ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের মাত্র ছয় ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলার কুমারপুর এলাকা থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত পিন্টু আকন্দ নওগাঁর রানিনগর উপজেলার লোহাচুরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘লটো’র শোরুমের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টা ৮ মিনিটে একটি সাদা রঙের হায়েস মাইক্রোবাস লটো শোরুমের সামনে এসে থামে। গাড়ি থেকে মুখ ঢাকা চার সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নেমে শোরুমের ভেতরে ঢোকে। তারা পিন্টুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে এবং জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। রাত ৩টার দিকে আদমদীঘির কুমারপুর এলাকায় রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পিন্টুর মরদেহ শনাক্ত করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অপহরণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনার তদন্তে পুলিশ দ্রুত তৎপরতা শুরু করে। ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে, জনাকীর্ণ এলাকা থেকে এমন দুর্ধর্ষ অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুপচাঁচিয়া এবং পিন্টুর গ্রামের বাড়ি রানিনগরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।