বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে এখন শুধু হলুদের সমারোহ। চারদিকে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি পূরণ না হলেও মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুল প্রকৃতিতে এক নান্দনিক রূপ দিয়েছে। ফুলের সুবাসে মৌমাছির গুঞ্জন আর সুইচোরা, বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁকসহ বিভিন্ন পাখির আনাগোনা বেড়েছে। এই মনোরম দৃশ্য দেখতে ও ক্যামেরাবন্দি করতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন শিক্ষার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শেরপুরে ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ১৮১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উপজেলায় বারি-১১, ১২, ১৩, ১৪ এবং টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদই সবচেয়ে বেশি।
খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের কৃষক হায়দার আলী, সেলিম সরকার ও মোজাম্মেল হক জানান, গত বছর সরিষা চাষ করে তারা বেশ লাভবান হয়েছিলেন। এবারও গাছের বৃদ্ধি ও ফুলের অবস্থা খুব ভালো। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবারও ভালো লাভের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কিছুটা কম হলেও এখন পর্যন্ত সরিষা ক্ষেতের অবস্থা বেশ সন্তোষজনক। যদি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে এবারও সরিষার আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।’
মানবকণ্ঠ/ডিআর




Comments