
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সোনালি শস্যে ভরে উঠেছে ধানের খেত, আর কৃষকদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। সময়মতো চারা রোপণ, সঠিক পরিচর্যা এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
বাড়তি আবাদ, উচ্চ ফলনের লক্ষ্য
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ১২,১৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে ব্রি ধান–৭৫, ব্রি ধান–৮৭ এবং ব্রি ধান–৯৮ জাতের ধান বেশি চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের লক্ষ্য প্রতি হেক্টরে ৩.২৫ থেকে ৩.৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষকদের আশা ও প্রত্যাশা
শিমূলঘর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, “গতবারের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্য দাম পেলে আমরা লাভবান হব।” একই গ্রামের আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, “আমরা নতুন জাত ব্রি ধান–৯৮ রোপণ করেছি। ফলন দেখে আমরা খুশি। ভালো দাম পেলে আমাদের সারা বছরের পরিশ্রম সার্থক হবে।”
পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিভাগ
কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণের খবর পাওয়া গেলেও উপজেলা কৃষি অফিস দ্রুত মাঠপর্যায়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার বলেন, “সময়মতো চারা রোপণ, সঠিক পরিচর্যা এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার আমনের ফলন ভালো হবে। আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন সম্ভব হবে।”
ন্যায্য মূল্যের প্রত্যাশা
মাধবপুরের কৃষকরা এখন ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ভালো ফলনের সঙ্গে যদি ন্যায্য দাম নিশ্চিত হয়, তবে এই মৌসুম সত্যিই কৃষকদের জন্য ‘বাম্পার’ হবে। কৃষকদের প্রত্যাশা, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
Comments