লাকসামে নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, রহস্য ঘনীভূত

কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজ হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর কচুরিপানা ভর্তি একটি ডোবা থেকে তিন বছরের শিশু রিমনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। নিহত রিমন লাকসাম পৌরসভার রাজঘাট বেপারি বাড়ির মোঃ আলমের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, পাশাপাশি শিশুটির মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রিমন নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রাথমিকভাবে রাস্তার দিকে যাওয়ার খবর পাওয়ায়, রাস্তার পাশে কচুরিপানা ভর্তি সোনামিয়ার ডোবায় খোঁজ চালানো হয়। তবে প্রথম দফায় শিশুটিকে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় ডোবায় পুনরায় তল্লাশি চালান। একপর্যায়ে কচুরিপানার নিচ থেকে রিমনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে দ্রুত লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিমনের পরিবার জানায়, শিশুটি সাধারণত ঘরে বা আশপাশে খেলাধুলা করতো এবং কখনোই পানির কাছে যেত না। তারা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, শত্রুতাবশত কেউ শিশুটিকে ডোবায় নিয়ে গিয়ে ফেলে থাকতে পারে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।” এ ঘটনায় শিশুটির পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
শিশু রিমনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের পাশাপাশি রহস্যের জটও পাকিয়ে উঠছে। পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
Comments