Image description

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মৃত আবু বক্করের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মৃত আবু বক্করের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজার গাছসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।  

থানা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল বৈদ্যনাথপুর পোলের মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের একটি পানবরজে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করলে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়। এ সময় বরজের ভেতরে রোপণকৃত একটি বড় আকৃতির গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়। গাছটির ওজন আনুমানিক ২২.৮ কেজি বলে জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি পানবরজ ও ফসলি জমির আড়ালে গাঁজা চাষের চেষ্টা করছে। পুলিশ ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে আসছিল। শুক্রবার রাতে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পরেই পুলিশ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান “আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি এবং পানবরজ থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সমাজে মাদক ছড়ানোর যে কোনো প্রচেষ্টা আমরা কঠোর হাতে দমন করব।”

তিনি আরও বলেন, “মাদক সমাজের শত্রু। মাদক ব্যবসায়ী ও চাষিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা মাদক চাষ বা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধারকৃত গাঁজার গাছ ও অন্যান্য আলামত জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা নং–২৬, তারিখ–১৭/১০/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) সারণির ১৮(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গাঁজা চাষের ঘটনায় তারা হতবাক। গ্রামের একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, “আমরা কখনো ভাবিনি আমাদের গ্রামে এমন ঘটনা ঘটবে। পুলিশ যেভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই প্রশাসন এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করুক।”