Image description

খুলনায় অপদ্রব্য পুশ করা ৩৮ মণ চিংড়ি জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) কোস্টগার্ড ও মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনা ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্ট লিমিটেডের কারখানায় অভিযান চালিয়ে এ চিংড়ি জব্দ করে। পরে জব্দকৃত চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নষ্ট করা হয়। তবে পুশ কাজে জড়িত কোম্পানির কাউকে আটক করা হয়নি।

অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্ট লিমিটেডের উৎপাদন কক্ষে ব্লক সেকশনের সামনে প্রক্রিয়াজাত করার সময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পাওয়া যায়। মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগেও প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রস্তুত করা গলদা চিংড়ি পুশ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুশ করা চিংড়ির পরিমাণ ১ হাজার ৫৪০ কেজি বা সাড়ে ৩৮ মণ।

তাঁরা জানান, বিদেশে রপ্তানি করা চিংড়ির ওজন বাড়াতে জেলি-সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ করা হয়। এতে চিংড়ির ওজন বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি মুনাফা করে কিছু অসাধু ব্যক্তি। চিংড়িতে পুশ করা অপদ্রব্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এই চিংড়ি ধরা পড়লে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। যার কারণে অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি বিক্রি ও মজুত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিভিন্ন সময় অপদ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চললেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পুশ বন্ধ করেনি। এছাড়া চিংড়ি কেনার সময় মাথাসহ চিংড়ি কেনার বিধি রয়েছে। কিন্তু অতি মুনাফার লোভে অনেক ব্যবসায়ী এটি মানেন না। যার কারণে চিংড়িতে অপদ্রব্য বন্ধ করা যাচ্ছে না।

মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনার সহকারী পরিচালক মো. আবুল হাসান জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। অভিযানের পর আইন অনুযায়ী তাদের শোকজ করা হবে। এরপর জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।