কাপ্তাইয়ে ওয়াগ্গা জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উদযাপন
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওয়াগ্গা জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ায় জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারে এ উৎসব শুরু হয়।
ওয়াগ্গা জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুমেধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উঃ পামোক্ষা মহাথেরো। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পূঞাবংশ মহাথেরো, ওয়াগ্গা সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারের ক্ষেমানন্দ ভিক্ষু, দেবতাছড়ি মহাজনপাড়া স্বধর্ম জ্যোতি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ক্ষেমিন্ডা মহাথেরোসহ আরও অনেকে। এ উৎসব উপলক্ষে ভোর থেকে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে এ বিহারে উপস্থিত হন কাপ্তাইয়ের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শত শত নর-নারী। এ সময় শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে সকাল থেকে ফুলপূজা, বুদ্ধপূজা, দেশ-জাতি তথা সকল প্রাণীর হিত, সুখ ও মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার, কল্পতরু দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদানসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলন করা হয়।
ওয়াগ্গা জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি রঞ্জিত কারবারি জানান, "আমরা যে কাপড়টি পরিধান করি, সেটিকে চীবর বলা হয়। প্রবারণা পূর্ণিমার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে একটি বিহারে একদিন এ চীবর দান অনুষ্ঠানটি করা যায়।" সাধারণ সম্পাদক অরুণ তালুকদার জানান, "২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুতা থেকে কাপড় বুনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে হয়। এজন্যই এটিকে কঠিন চীবর দান বলা হয়।" মানব জীবনের সব অন্তরায় দূর হোক—এই কামনা করে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।



Comments