Image description

রাজশাহীর চারঘাটে উদ্বেগজনক হারে কমতে শুরু করেছে ফসলি জমি। এসব ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে বাড়িঘর, দোকানপাট, রাস্তাঘাট এবং খনন করা হচ্ছে পুকুর। ফলে কৃষি পণ্য উৎপাদনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আবাদি জমি ঘরবাড়ি নির্মাণ, ইটভাটা, রাস্তাঘাট, নদীভাঙনসহ নানা কারণে অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার তিন-চতুর্থাংশ মানুষ সরাসরি কৃষি অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে কৃষি উৎপাদন ও কৃষি বিপণনের ওপর। ফসলি জমি কমে যাওয়ার এই হার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে তারা জানান।

উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক সালামত আলী বলেন, ‘আমরা শৈশব থেকেই কৃষিকাজ করে আসছি। বাপ-দাদার হাত ধরে কৃষিকাজে হাতেখড়ি হয়েছে। আগে আমাদের পরিবার যে পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ করত, এখন তার মাত্র এক-পঞ্চমাংশ জমিতে ফসল ফলাই।’

নিমপাড়া ইউনিয়নের বালাদিয়াড় ও ভাটপাড়া গ্রামের প্রবীণ কৃষকরা বলেন, যেসব জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলানো হতো, সেখানে এখন গড়ে উঠেছে জনবসতি, পুকুর এবং বিভিন্ন ধরনের দোকান। এতে ফসলি জমির পরিমাণ ক্রমাগত কমছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন হাসান বলেন, ‘আগের তুলনায় বর্তমানে আবাদি জমির পরিমাণ কমে গেছে। এসব জমিতে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা ফসলি জমি কমার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বসতবাড়ি নির্মাণ বেড়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, যেসব জমি পতিত রয়েছে, সেখানে তিন ফসলের আবাদ করতে।’