কেরানীগঞ্জে নারীর দগ্ধ লাশ: ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উন্মোচন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে তালাবদ্ধ ঘর থেকে অগ্নিদগ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মূলত ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ওই নারীকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে মূল অভিযুক্ত রিয়াজ (২০) ও তার বাবা মো. ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বমপুর, তাহেরপুর, জামালগঞ্জ ও ছাতক থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রথমে রিয়াজের বাবা ফরিদ মিয়া এবং পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে নিহত সালমা ও তার বোন শামসুন্নাহার কেরানীগঞ্জের অমৃতপুর এলাকায় দোলন মিয়ার বাড়ির দোতলায় একটি ফ্ল্যাট ৪ লাখ টাকায় বন্ধক (মর্টগেজ) নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ অভিযুক্ত রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়ার কাছে সাবলেট ভাড়া দেওয়া হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর বাসায় সালমাকে একা পেয়ে রিয়াজ তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর লাশটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়। দুদিন পর (২৭ নভেম্বর) লাশ পচে গন্ধ বের হতে শুরু করলে রিয়াজ লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে বাবার সঙ্গে পালিয়ে যায়।
পরে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে সালমার কয়লা হয়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ২ ডিসেম্বর নিহতের ভাই মনা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে।




Comments