Image description

হঠাৎ অস্থির হওয়া পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সারা দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলেও কেরানীগঞ্জের বাজারগুলোতে এর কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। 

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজার, কালিগঞ্জ বাজার ও হাসনাবাদ বাজার এলাকায় দেখা গেছে পেঁয়াজ এখনো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে। কেরানীগঞ্জের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম না কমায় হতাশ খুচরা ক্রেতারা। 

সকালে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে কালিগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ ক্রয় করতে আসা গৃহিণী শান্তা বেগম জানান, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যায় অথচ দাম কমার দুইদিন পরেও খুচরা বাজারে দাম কমে না। বাজারের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম আগের মত নিয়ে রেখেছে। আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি।

একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, শুধুমাত্র পেয়াজ নয়, খাদ্যপণ্যের সবই সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নজরদারি খুবই জরুরী। বাজারে ঠিকমতো নজরদারি করলে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থাকত না। উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদার করুন। সাধারণ মানুষকে ব্যবসায়ীদের দ্বারা জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেন।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ইমরান জানান, আমরা আজও পাইকারি ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। তাই বাধ্য হয়ে ১৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। শুনেছি পেঁয়াজের দাম কমেছে কিন্তু আমরা কমদামে কিনতে পারছিনা, তাহলে কমে বিক্রি করব কিভাবে। আড়ৎদার বলছে তাদের আগের দামে ক্রয় করা অনেক পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে, সেগুলো বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দাম কমবে না।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উমর ফারুক জানান,পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বাজারে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হবে। আমি নতুন উপজেলা নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেছি। কেরানীগঞ্জের সকল প্রকার সমস্যা সমাধানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।